জুয়েলারী (Jewelry) এক ধরনের অলঙ্কার যা সাধারণত গহনা, রূপালী বা সোনালী আংটি, কানের দুল, চুড়ি, নেকলেস, ব্রেসলেট ইত্যাদি আকারে তৈরি করা হয়। এগুলো মূলত শখ, সৌন্দর্য, বা সামাজিক মর্যাদা প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়, তবে অনেক সময় ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গিতেও এই অলঙ্কারগুলি বিশেষ গুরুত্ব পায়।
জুয়েলারী শুধু সাজানোর উদ্দেশ্যেই নয়, বরং এটি অনেক সময় ব্যক্তির সামাজিক বা সাংস্কৃতিক পরিচয়, মর্যাদা, এবং ঐতিহ্যকেও প্রতিফলিত করে।
জুয়েলারীর ধরণ:
জুয়েলারী সাধারণত বিভিন্ন ধরণের ধাতু, রত্নপাথর, এবং ডিজাইনে তৈরি করা হয়। নিচে কিছু প্রধান ধরনের জুয়েলারী সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
১. গহনা (Jewelry)
এই শব্দটি সাধারণত সমস্ত ধরণের অলঙ্কারের জন্য ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে রূপালি, সোনালী, পাথর বা কাঁচের তৈরি গহনা অন্তর্ভুক্ত থাকে।
২. ব্রেসলেট
এটি হাতের কনুইয়ের চারপাশে পরিধান করা হয় এবং সাধারণত রূপা, সোনা বা প্লাটিনাম দিয়ে তৈরি হয়। অনেক সময় এর মধ্যে রত্ন বা পাথরও বসানো থাকে।
৩. নেকলেস (Necklace)
এটি গলার চারপাশে পরা অলঙ্কার। নেকলেস সাধারণত রূপা বা সোনা দিয়ে তৈরি হয় এবং মাঝে মাঝে একে আরও আকর্ষণীয় করতে রত্ন, পাথর, হীরা ইত্যাদি বসানো হয়।
৪. কানের দুল (Earrings)
এটি কানের পিরসিংয়ের মধ্যে পরা ছোট অলঙ্কার। কানের দুল নানা ডিজাইনে পাওয়া যায়—ছোট, বড়, দুলানো ধরনের, রিং টাইপ বা ড্রপ ডাউন ধরনের।
৫. চুড়ি (Bangle/Bracelet)
চুড়ি হলো এক ধরনের হাতের অলঙ্কার যা সাধারণত মেটাল বা কাঠ দিয়ে তৈরি হয়। অনেকে এটিকে বিভিন্ন রঙের স্টোন বা রত্ন দিয়ে সাজায়।
৬. আংটি (Ring)
আংটি একটি ছোট গোলাকৃতি অলঙ্কার যা আঙুলে পরা হয়। এটি সাধারণত বিয়ে, প্রেম, বা কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানের চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আংটি নানা ধরণের হতে পারে, যেমন: আংটি, ম্যারেজ রিং, সোলিটেয়ার রিং ইত্যাদি।
৭. পদ্ম (Crown)
কিছু সংস্কৃতিতে রাজা বা রানিরা সোনালি বা রূপালি পদ্ম পরিধান করেন, যা তাদের অবস্থান এবং মর্যাদা প্রকাশ করে। এটি সাধারণত অলঙ্কৃত রত্নের সাথে তৈরি হয়।
৮. পিউট (Pendant)
নেকলেস বা চেনের সাথে যুক্ত একটি ছোট অলঙ্কার যা সাধারণত কোনো বিশেষ ডিজাইনে তৈরি হয়। এটি বিভিন্ন রত্ন, পাথর, অথবা মান্য ব্যক্তির ছবি বা ধর্মীয় চিহ্ন দিয়ে সাজানো হয়।